সিন্ধু ও বৈদিক সভ্যতা 

১৫. ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর – (Short questions and answers) –

 

প্রশ্ন:-  মেহেরগড় সভ্যতার একজন আবিষ্কারকের নাম লেখো ?

উত্তর:-  বিখ্যাত ফরাসি প্রত্নতত্ত্ববিদ জেন ফ্রাঁসোয়া জারেজ মেহেরগড় সভ্যতা আবিষ্কার করেন ।

 

প্রশ্ন:-  মেহেরগড় সভ্যতা কবে আবিষ্কৃত হয় ?

উত্তর:- মেহেরগড় সভ্যতা ১৯৭৪ সালে আবিষ্কৃত হয় ।

 

প্রশ্ন:-  মেহেরগড় সভ্যতা কোথায় অবস্থিত ?

উত্তর:-  বর্তমান পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে ও বেলুচিস্তানের মধ্যবর্তী স্থানে – অর্থাৎ বোলান গিরিপথের কাছে ও কোয়েটা শহর থেকে ১৫০ কি.মি. দূরে মেহেরগড় সভ্যতা অবস্থিত ছিল ।

 

প্রশ্ন:-  মেহেরগড় সভ্যতাটি ভারতের কোন প্রাক ঐতিহাসিক যুগের সভ্যতার নিদর্শন ?

উত্তর:- মেহেরগড় সভ্যতা ভারতের নতুন প্রস্তর যুগের সমসাময়িক যুগের সভ্যতার নিদর্শন ।

 

প্রশ্ন:- ভারতীয় সভ্যতা কত প্রাচীন ?

উত্তর:- ভারতীয় সভ্যতা প্রায় ৮৫০০ বছরের  প্রাচীন ।

 

প্রশ্ন:-  ভারতের কোন কোন স্থানে প্রাচীন প্রস্তরযুগের নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে ?

উত্তর:- ভারতের পশ্চিম পাঞ্জাব ও দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু অঞ্চলে প্রাচীন প্রস্তরযুগের নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে ।

 

প্রশ্ন:-  ভারতের সবচেয়ে প্রাচীন সভ্যতার নাম কী ?

উত্তর:- ভারতের সবচেয়ে প্রাচীন সভ্যতার নাম মেহেরগড় সভ্যতা ।

 

প্রশ্ন:-  মেহেরগড় সভ্যতা কোন যুগের সভ্যতা ?

উত্তর:-  মেহেরগড় সভ্যতা নতুন প্রস্তর যুগের সভ্যতা ।

 

প্রশ্ন:-  হরপ্পা সভ্যতা ভারতের কোন প্রাক ঐতিহাসিক যুগের সভ্যতার নিদর্শন ?

উত্তর:- হরপ্পা সভ্যতা ভারতের তাম্রপ্রস্তর যুগেরসমসাময়িক যুগের সভ্যতার নিদর্শন ।

 

প্রশ্ন:-  মেহেরগড় সভ্যতা কত দূর বিস্তৃত ছিল ?

উত্তর:-  বর্তমান পাকিস্তানের অন্তর্গত বালুচিস্তানের জোব নদী থেকে পশ্চিম ভারতের সিন্ধু নদ পর্যন্ত মেহেরগড় সভ্যতা  বিস্তৃত ছিল ।

 

প্রশ্ন:- পশুপালনের ওপর ভিত্তি করে ভারতবর্ষের কোন সভ্যতা গড়ে উঠেছিল ?

উত্তর:- পশুপালনের ওপর ভিত্তি করে ভারতবর্ষের মেহেরগড় সভ্যতা গড়ে উঠেছিল ।

 

প্রশ্ন:-  মেহেরগড় সভ্যতার প্রকৃতি কী ধরনের ছিল ?

উত্তর:- মেহেরগড় সভ্যতা ছিল কৃষিকেন্দ্রিক  ।

 

প্রশ্ন:-  বৈদিক সভ্যতা ভারতের কোন প্রাক ঐতিহাসিক যুগের সভ্যতার নিদর্শন ?

উত্তর:-  বৈদিক সভ্যতা ছিল লৌহযুগের সমসাময়িক যুগের সভ্যতার নিদর্শন ।

 

প্রশ্ন:-  মেহেরগড় সভ্যতার  ৫টি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রের নাম করো ?

উত্তর:- মেহেরগড় সভ্যতার  ৫টি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রের নাম হল (ক) মেহেরগড়  (খ) কিলে গুল মহম্মদ (গ) কোটদিজি (ঘ) গুমলা  (ঙ)  মুন্ডিগাক ।

 

প্রশ্ন:- সিন্ধু সভ্যতার নিদর্শন কে  আবিস্কার করেন ?

উত্তর:- বাঙালি প্রত্নতত্ত্ববিদ রাখালদাস বন্দোপাধ্যায়সিন্ধু সভ্যতা নিদর্শন আবিস্কার করেন ।

 

প্রশ্ন:-  হরপ্পা সভ্যতার যন্ত্রপাতি কোন ধাতুতে নির্মিত  ?

উত্তর:- হরপ্পা সভ্যতার যন্ত্রপাতি তামা ও টিন -এর সংমিশ্রণে প্রস্তুত ব্রোঞ্জ ধাতু দিয়ে নির্মিত ।

 

প্রশ্ন:-  হরপ্পা সভ্যতা কী ধরনের সভ্যতা ?

উত্তর:- হরপ্পা সভ্যতা ছিল একটি নগর কেন্দ্রিক সভ্যতা ।

 

প্রশ্ন:-  হরপ্পা সভ্যতার মূল ভিত্তি কী ছিল ?

উত্তর:- প্রকৃতিগত ভাবে হরপ্পা সভ্যতা একটি নগর কেন্দ্রিক সভ্যতা হলেও হরপ্পা সভ্যতার মূল ভিত্তি ছিল কৃষি ও পশুপালন ।

 

প্রশ্ন:- হরপ্পা সভ্যতার মানুষেরা কোন পশুর ব্যবহার জানত না ?

উত্তর:- হরপ্পা সভ্যতার মানুষেরা ঘোড়ার ব্যবহার জানত না ।

 

প্রশ্ন:- হরপ্পা সভ্যতা কত দিন আগে গড়ে উঠেছিল ?

উত্তর:- খ্রিস্টপূর্ব প্রায় তিন হাজার বৎসর আগে হরপ্পা সভ্যতা গড়ে উঠেছিল ।

 

প্রশ্ন:-  ভারতবর্ষে প্রাক আর্যযুগের প্রাচীনতম বন্দরের নিদর্শন কোথায় পাওয়া গেছে ?

উত্তর:- গুজরাটের লোথাল-এ প্রাক আর্যযুগের প্রাচীনতম বন্দরের নিদর্শন কোথায় পাওয়া গেছে ।

 

প্রশ্ন:-  ভারতের প্রথম নগরায়নের চিহ্ন কোন অঞ্চলের ধ্বংসাবশেষ থেকে পাওয়া গেছে ?

উত্তর:- হরপ্পা-মহেঞ্জোদারো অঞ্চলের ধ্বংসাবশেষথেকে ভারতের প্রথম নগরায়নের চিহ্ন পাওয়া গেছে ।

 

প্রশ্ন:-  ভারতের প্রথম নগরায়নের যুগের একটি শহরের নাম লেখো ?

উত্তর:-  ভারতের প্রথম নগরায়নের যুগের একটি শহরের নাম মহেঞ্জোদারো ।

 

প্রশ্ন:-  হরপ্পা সভ্যতা কবে আবিস্কৃত হয় ?

উত্তর:- হরপ্পা সভ্যতা ১৯২৪ সালে আবিস্কৃত হয় ।

 

প্রশ্ন:-  হরপ্পা সভ্যতার  কালসীমা লেখো ?

উত্তর:-  হরপ্পা সভ্যতার কালসীমা হল ৩,০০০ – ১,৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ 

 

প্রশ্ন:- সিন্ধু সভ্যতা আবিস্কারের সঙ্গে জড়িত একজন প্রত্নতাত্ত্বিকের নাম লেখো ?

উত্তর:- বাঙালি প্রত্নতত্ত্ববিদ রাখালদাস বন্দোপাধ্যায়সিন্ধু সভ্যতা আবিস্কার করেন ।

 

প্রশ্ন:- ভারতবর্ষের প্রাচীনতম বন্দর কোনটি ?

উত্তর:- ভারতবর্ষেরর প্রাচীনতম বন্দরের নাম গুজরাটের লোথাল 

 

প্রশ্ন:- রাজস্থানের কোন অঞ্চলে সিন্ধু সভ্যতার নিদর্শন পাওয়া গেছে ?

উত্তর:- রাজস্থানের কালিবঙ্গান অঞ্চলে সিন্ধু সভ্যতার নিদর্শন পাওয়া গেছে ।

 

প্রশ্ন:- কোন বন্দরের মাধ্যমে হরপ্পা-সভ্যতার বৈদেশিক বাণিজ্য চলত ?

উত্তর:- লোথাল বন্দরের মাধ্যমে হরপ্পা-সভ্যতার বৈদেশিক বাণিজ্য চলত ।

 

প্রশ্ন:- হরপ্পা-সভ্যতার লিপির নাম কি ?

উত্তর:- হরপ্পা-সভ্যতার লিপির নাম সিন্ধুলিপি 

 

প্রশ্ন:- হরপ্পা সভ্যতা কোন সভ্যতার সমসাময়িক ?

উত্তর:- হরপ্পা সভ্যতা মেসোপটেমিয়া এবং সুমেরীয়সভ্যতার সমসাময়িক ।

 

প্রশ্ন:- হরপ্পা কোথায় অবস্থিত ?

উত্তর:- হরপ্পা পাকিস্তানের পাঞ্জাব রাজ্যের মন্টগোমারিজেলায় অবস্থিত  ।

 

প্রশ্ন:-  প্রাচীন ভারতে কারা আর্য নামে পরিচিত ?

উত্তর:- আর্যরা ছিল ভারতের বহিরগত দীর্ঘকায় গৌরবর্ণ ও সুদর্শন এক জাতি– যাদের আদি বাসস্থান ছিল মধ্য এশিয়া অথবা রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চল কিংবা ইউরোপ মহাদেশের অস্ট্রিয়া , হাঙ্গেরী অথবা চেকোস্লোভাকিয়ারবিস্তীর্ণ অঞ্চলে ।

 

প্রশ্ন:- আর্যরা প্রথম কবে ভারতে আসে ?

উত্তর:- আনুমানিক ১,৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে আর্যরা প্রথম ভারতে আসে।

 

প্রশ্ন:- আর্যরা প্রথম ভারতে কোথায় বসতি স্থাপন করে ?

উত্তর:- উত্তর ভারতের সিন্ধু নদের পাঁচটি উপনদী, সরস্বতী এবং উচ্চ গাঙ্গেয় উপত্যকায় সপ্তসিন্ধু অঞ্চলে আর্যরা প্রথম ভারতে বসতি স্থাপন করে ।

 

প্রশ্ন:- আর্যদের স্বর্ণমুদ্রার নাম কী ?

উত্তর:- আর্যদের স্বর্ণমুদ্রার নাম হল নিষ্ক 

 

প্রশ্ন:- আর্যদের প্রধান ধর্মগ্রন্থের নাম কী ?

উত্তর:- আর্যদের প্রধান ধর্মগ্রন্থের নাম বেদ ।

 

প্রশ্ন:- ভারতের প্রাচীনতম সাহিত্য কোনটি ?

উত্তর:- ভারতের প্রাচীনতম সাহিত্য হল বেদ ।

 

প্রশ্ন:- বিশ্বের দরবারে হরপ্পা সভ্যতার প্রথম অবদানটির নাম লেখো ?

উত্তর:- বিশ্বের দরবারে হরপ্পা সভ্যতার প্রথম অবদান হল উন্নত নগর পরিকল্পনা ।

 

প্রশ্ন:- কোন সভ্যতা হরপ্পা সংস্কৃতির পথিকৃত ছিল ?

উত্তর:- মেহেরগড় সভ্যতা হরপ্পা সংস্কৃতির পথিকৃত ছিল।

 

প্রশ্ন:-  মহেঞ্জোদরো কোথায় অবস্থিত ?

উত্তর:- বর্তমান পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের লারকানাজেলায় , সিন্ধু নদের পশ্চিম তীরে মহেঞ্জোদরো অবস্থিত ।

 

প্রশ্ন:- মহেন-জো-দরো শব্দের অর্থ কী ?

উত্তর:- মহেন-জো-দরো শব্দের অর্থ হল মৃতের স্তূপ ।

 

প্রশ্ন:- প্রাচীন ভারতের দুটি নগরের নাম লেখো ?

উত্তর:- প্রাচীন ভারতের দুটি নগরের নাম হরপ্পা ও লোথাল ।

 

প্রশ্ন:- বেদের অপর নাম কী ?

উত্তর:- বেদের অপর নাম শ্রুতি ।

 

প্রশ্ন:- বৈদিকযুগের প্রাচীনতম গ্রন্থ কোনটি ?

উত্তর:- বৈদিকযুগের প্রাচীনতম গ্রন্থ নাম ঋকবেদ ।

 

প্রশ্ন:- ঋকবৈদিক যুগের প্রধান দেবতার নাম কী ?

উত্তর:- ঋকবৈদিক যুগের প্রধান দেবতার নাম অগ্নি ।

 

প্রশ্ন:-  বেদের শেষ ভাগের নাম কী ?

উত্তর:- বেদের শেষ ভাগের নাম  অথর্ব ।

 

প্রশ্ন:-  বৈদিক সাহিত্যের কোন অংশকে বেদান্ত বলা হয় ?

উত্তর:- উপনিষদ কে বৈদিক সাহিত্যের বেদান্ত বলা হয় ।

 

প্রশ্ন:-  বেদ কবে রচিত হয় ?

উত্তর:- খ্রিষ্টপূর্ব ১,৫০০ – ১০০০ অব্দের মধ্যে বেদ রচনা করা হয় বলে অনুমান করা হয়ে থাকে ।

 

প্রশ্ন:- বেদের কয়টি ভাগ আছে ও কী কী  ?

উত্তর:- বেদের চারটি ভাগ আছে – যথা ঋক,সাম,যজু, ও অথর্ব ।

 

প্রশ্ন:- প্রত্যেক বেদের কয়টি অংশ ও কী কী ?

উত্তর:- প্রত্যেক বেদের চারটি অংশ , যথা: সংহিতা , ব্রাহ্মণ, আরন্যক এবং উপনিষদ বা বেদান্ত ।

 

প্রশ্ন:-  কী ভাবে বেদ কথাটির উৎপত্তি হয় ?

উত্তর:- বিদ শব্দ থেকে বেদ কথাটির উৎপত্তি হয় , বিদ শব্দের অর্থ হল জ্ঞান ।

 

প্রশ্ন:-  গৃহপতি বা কুলপা কাকে বলা হত ?

উত্তর:- বৈদিক যুগের কোনো পরিবারের কর্তাকে গৃহপতি বা কুলপা বলা হত ।

 

প্রশ্ন:-  বৈদিক যুগের কয়েক জন বিদুষী নারীর নাম করো ?

উত্তর:- বৈদিক যুগের কয়েক জন বিদুষী নারীর নাম হল অন্ডালা, ঘোষ, মমতা, লোপামুদ্রা প্রভৃতি ।

 

প্রশ্ন:- আর্যদের চতুরাশ্রমের প্রথম আশ্রমের নাম কী ?

উত্তর:- আর্যদের চতুরাশ্রমের প্রথম আশ্রমের নাম ব্রহ্মচর্য

 

প্রশ্ন:- আর্যদের চতুরাশ্রমের সর্বশেষ আশ্রমের নাম কী ?

উত্তর:- আর্যদের চতুরাশ্রমের সর্বশেষ আশ্রমের নাম সন্ন্যাসাশ্রম ।

 

প্রশ্ন:- বৈদিক যুগের প্রচলিত মুদ্রার নাম কী ?

উত্তর:- বৈদিক যুগের প্রচলিত মুদ্রার নাম ‘নিষ্ক’ ও ‘মনা’ ।

 

প্রশ্ন:-  ঋকবৈদিক যুগের সমাজে কৃষক ছাড়াও অপর কয়েকটি বৃত্তিজীবি মানুষের নাম করো ?

উত্তর:- ঋকবৈদিক যুগের সমাজে কৃষক ছাড়াও অপর কয়েকটি বৃত্তিজীবি মানুষের নাম হল সূত্রধর,চর্মকার,ছুতোর,তাঁতি,কুমোর,প্রভৃতি ।

 

প্রশ্ন:- বৈদিক যুগে বিনিময়ের প্রধান মাধ্যম কী ছিল ?

উত্তর:- বৈদিক যুগে বিনিময়ের প্রধান মাধ্যম ছিল গোরু ।

 

প্রশ্ন:-  আর্যদের বিনিময় প্রথার প্রধান মাধ্যম কী ছিল ?

উত্তর:- আর্যদের বিনিময় প্রথার প্রধান মাধ্যম ছিল গোরু ।

 

প্রশ্ন:- বৈদিক সভ্যতা কী ?

উত্তর:- বেদকে ভিত্তি করে যে সভ্যতা গড়ে ওঠেছে তাই বৈদিক সভ্যতা ।

 

প্রশ্ন:- বৈদিক সভ্যতার স্রষ্টা কারা  ?

উত্তর:- বৈদিক সভ্যতার স্রষ্টা হল আর্যরা ।

 

প্রশ্ন:- ঋকবেদে বলি শব্দটি কী অর্থে ব্যবহৃত হত ?

উত্তর:- ঋকবেদে বলি শব্দটি কর নেওয়া অর্থে ব্যবহৃত হত ।

 

প্রশ্ন:- উপনিষদ কী ?

উত্তর:- উপনিষদ হল বেদের একটি অন্যতম দার্শনিক বিভাগ ।

 

প্রশ্ন:-   চতুর্বেদ ছাড়াও অপর একটি বৈদিক সাহিত্যের নাম করো ?

উত্তর:- চতুর্বেদ ছাড়াও অপর একটি বৈদিক সাহিত্যের নাম বেদাঙ্গ ।

 

প্রশ্ন:- বৈদিক যুগের দুটি জনসভার নাম করো যারা রাজশক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারত ?

উত্তর:- সভা ও সমিতি -নামে দুটি জনসভা রাজশক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারত ।

 

প্রশ্ন:- বৈদিক আর্যদের প্রধান ভাষা কী ছিল ?

উত্তর:- বৈদিক আর্যদের প্রধান ভাষা ছিল সংস্কৃত ।

 

প্রশ্ন:- দশরাজার যুদ্ধ কাহিনী কোথায় লিপিবদ্ধ আছে ?

উত্তর:-দশরাজার যুদ্ধ কাহিনী ঋকবেদে লিপিবদ্ধ আছে।

 

প্রশ্ন:- বৈদিক যুগের প্রধান উপাস্য দেবতা কারা ছিলেন  ?

উত্তর:- বৈদিক যুগের প্রধান উপাস্য দেবতা ছিলেন পৃথিবী, মরুৎ, রুদ্র, অগ্নি, উষা, ইন্দ্র, সূর্য প্রভৃতি ।

 

প্রশ্ন:- পরবর্তী বৈদিকযুগের দু-জন বিদুষী নারীর নাম করো ?

উত্তর:- পরবর্তী বৈদিকযুগের দু-জন বিদুষী নারীর নাম হল মৈত্রেয়ী ও গার্গী ।

 

প্রশ্ন:- পরবর্তী বৈদিকযুগে উদ্ভুত দুটি নগরের নাম করো ?

উত্তর:- পরবর্তী বৈদিকযুগে উদ্ভুত দুটি নগরের নাম হস্তিনাপুর ও কৌশাম্বী ।

 

প্রশ্ন:- প্রাচীন ভারতের  কোন যুগে প্রথম গিল্ড বা ব্যবসায়ী সংঘ গড়ে ওঠে ?

উত্তর:- প্রাচীন ভারতের পরবর্তী বৈদিক যুগে প্রথম গিল্ড বা ব্যবসায়ী সংঘ গড়ে ওঠে ।

 

প্রশ্ন:- বৈদিক যুগের শেষের দিকে ধনশালী বণিক শ্রেণীকে কী বলা হত ?

উত্তর:- বৈদিক যুগের শেষের দিকে ধনশালী বণিক শ্রেণীকে শ্রেষ্ঠী বা সেটঠি বলা হত ।

 

প্রশ্ন:- গৃহপতি বলতে কী বোঝো  ?

উত্তর:- বৈদিক পরবর্তী যুগে গ্রামাঞ্চলে গৃহপতি নামে একটি অত্যন্ত বিত্তশালী কৃষক সম্প্রদায়ের উৎপত্তি হয়েছিল এবং এরা সাধারণত বৈশ্য শ্রেণীভুক্ত ছিল ।

 

প্রশ্ন:- শ্রেষ্ঠী বা সেটঠি বলতে কী বোঝো  ?

উত্তর:- বৈদিক পরবর্তী যুগে বৈশ্য সম্প্রদায়ের মধ্যে অত্যন্ত বিত্তশালী বণিক শ্রেণীর উৎপত্তি হয়ে এবং এরা শ্রেষ্ঠী বা সেটঠি নামে পরিচিত ।

 

প্রশ্ন:-  কার রাজত্বকালে দ্বিতীয় বৌদ্ধমহাসভা আহুত হয় ?

উত্তর:- কালাশোকের রাজত্বকালে দ্বিতীয় বৌদ্ধমহাসভা আহুত হয় ।

 

প্রশ্ন:- কার রাজত্বকালে তৃতীয় বৌদ্ধমহাসভা আহুত হয় ?

উত্তর:- অশোকের রাজত্বকালে তৃতীয় বৌদ্ধমহাসভা আহুত হয় ।

 

প্রশ্ন:- বৌদ্ধদের প্রধান ধর্মগ্রন্থের নাম কী ?

উত্তর:- বৌদ্ধদের প্রধান ধর্মগ্রন্থের নাম ত্রিপিটক ( বিনয় পিটক, সুত্ত পিটক, অভিধর্ম পিটক ) ।

 

প্রশ্ন:-  বৌদ্ধদের প্রধান ধর্মগ্রন্থ ত্রিপিটক কোন ভাষায় লেখা ?

উত্তর:- বৌদ্ধদের প্রধান ধর্মগ্রন্থ ত্রিপিটক পালি ভাষায় লেখা ।

 

প্রশ্ন:- জাতক কী ?

উত্তর:- বৌদ্ধ সাহিত্যের একটি বিশিষ্ট গ্রন্থ , এতে গৌতম বুদ্ধের পূর্ব জন্মের কাহিনী লিপিবদ্ধ রয়েছে ।

 

প্রশ্ন:-  অষ্টাঙ্গিক মার্গের অপর নাম কী ?

উত্তর:- অষ্টাঙ্গিক মার্গের অপর নাম মঝঝিম বা মধ্যপন্থা ।

 

প্রশ্ন:- হরপ্পা সভ্যতার সঙ্গে বৈদিক সভ্যতার প্রধান পার্থক্য কী ?

উত্তর:- হরপ্পা সভ্যতা প্রধানত নগরকেন্দ্রিক ও বৈদিক সভ্যতা প্রধানত গ্রামকেন্দ্রিক ।

 

প্রশ্ন:- প্রথম বৌদ্ধমহাসভা কোথায় আহুত হয় ?

উত্তর:- অজাতশত্রুর রাজত্বকালে রাজগৃহে প্রথম বৌদ্ধমহাসভা আহুত হয় ।

 

প্রশ্ন:- দ্বিতীয় বৌদ্ধমহাসভা কোথায় আহুত হয়      ?

উত্তর:- কালাশোকের রাজত্বকালে বৈশালীতে দ্বিতীয় বৌদ্ধমহাসভা আহুত হয় ।

 

প্রশ্ন:- তৃতীয় বৌদ্ধমহাসভা কোথায় আহুত হয়      ?

উত্তর:- অশোকের রাজত্বকালে পাটালিপুত্রে তৃতীয় বৌদ্ধমহাসভা আহুত হয় ।

 

প্রশ্ন:-  কার রাজত্বকালে প্রথম বৌদ্ধমহাসভা আহুত হয় ?

উত্তর:- অজাতশত্রুর রাজত্বকালে প্রথম বৌদ্ধমহাসভা আহুত হয় ।

 

প্রশ্ন:-  বৌদ্ধধর্মে জাগতিক কামনা-বাসনার অবসানের জন্য কোন পথের সন্ধান দেওয়া হয়েছে ?

উত্তর:- বৌদ্ধধর্মে জাগতিক কামনা-বাসনার অবসানের জন্য অষ্টাঙ্গিক মার্গের কথা বলা  হয়েছে ।

 

প্রশ্ন:- কৈবল্যের অর্থ কী ?

উত্তর:- কৈবল্যের অর্থ হল পরম বা বিশুদ্ধ জ্ঞান, যা লাভ করলে সুখ-দুঃখ ও পঞ্চরিপুকে জয় করা যায় ।

 

প্রশ্ন:- আর্যসত্য সম্বন্ধে কে বলেছিলেন ?

উত্তর:- বুদ্ধদেব আর্যসত্য সম্বন্ধে বলেছিলেন ।

 

প্রশ্ন:- জৈন ধর্মের মূলনীতি কী ?

উত্তর:- জৈন ধর্মের মূলনীতি হল অহিংসা ।

 

প্রশ্ন:- প্রথম জৈন গ্রন্থের নাম কী ?

উত্তর:- প্রথম জৈন গ্রন্থের নাম কল্পসূত্র ।

 

প্রশ্ন:- জৈনদের প্রধান ধর্মগ্রন্থের নাম কী ?

উত্তর:- জৈনদের প্রধান ধর্মগ্রন্থের নাম দ্বাদশ অঙ্গ ।

 

প্রশ্ন:- প্রথম জৈন গ্রন্থ কল্পসূত্র কে রচনা করেন  ?

উত্তর:- প্রথম জৈন গ্রন্থ কল্পসূত্র রচনা করেন জৈন শ্রমন ভদ্রবাহু ।

 

প্রশ্ন:- তীর্থঙ্কর শব্দের অর্থ কী ?

উত্তর:- জৈনদের প্রধান ধর্মগুরুর নাম তীর্থঙ্কর ।

 

প্রশ্ন:- পার্শ্বনাথ কে ছিলেন ?

উত্তর:- পার্শ্বনাথ ছিলেন জৈনদের তেইশতম তীর্থঙ্কর 

 

প্রশ্ন:- সর্বপ্রথম তীর্থঙ্করের নাম কী ?

উত্তর:- সর্বপ্রথম তীর্থঙ্করের নাম ঋষভদেব বা আদিনাথ ।

 

প্রশ্ন:- জৈনদের শেষ তীর্থঙ্করের নাম কী ?

উত্তর:- জৈনদের শেষ তীর্থঙ্করের নাম মহাবীর ( চব্বিশতম তীর্থঙ্কর ) ।

 

প্রশ্ন:-  জৈন ধর্মের উৎপত্তির সময় কাল থেকে মহাবীর পর্যন্ত কতজন তীর্থঙ্কর ছিলেন ?

উত্তর:- জৈন ধর্মের উৎপত্তির সময় কাল থেকে মহাবীর পর্যন্ত সর্বমোট চব্বিশ জন তীর্থঙ্কর ছিলেন ।

 

প্রশ্ন:- পার্শ্বনাথ প্রচারিত চতুর্যামের সাথে মহাবীর কোন নতুন আদর্শ যোগ করেন ?

উত্তর:- পার্শ্বনাথ প্রচারিত চতুর্যামের সাথে মহাবীর অন্যতম আদর্শ হিসাবে সূচিতা বা ব্রহ্মচর্য আদর্শ যোগ করেন ।

 

প্রশ্ন:- জৈনদের দুটি প্রধান সম্প্রদায়ের নাম কী ?

উত্তর:- জৈনদের দুটি প্রধান সম্প্রদায়ের নাম শ্বেতাম্বর ও দিগম্বর ।

 

প্রশ্ন:- নিগম কথার অর্থ কী ?

উত্তর:- নিগম কথার অর্থ বণিকসংঘ ।

Standard

Leave a comment